শিরোনাম :

বিশ্বম্ভরপুরে অসামাজিক কর্মকান্ডে বাধা দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি, থানায় মামলা দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না মমতা বেগম

বিশেষ প্রতিনিধি : বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের রনবিদ্যা গ্রামের মমতাজ বেগম বাদী হয়ে গত ০২.১১.২০২৪ইং তারিখে বিশ্বম্ভরপুর থানায় পার্শবর্তী বাড়ীর শুকুর মামুদের পুত্র মজনু মিয়ার অসামাজিক কাজে বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাণ নাশ সহ নানান হুমকির প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী তার লিখিত অভিযোগে জানান, মজনু মিয়া একজন দুশ্চরিত্র ও অসামাজিক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। বর্তমানে এটি তার তৃতীয় সংসার এবং তার স্ত্রী চাদনী আক্তার কে মানসিক ও শারিরীক অত্যাচার প্রতিনিয়তই করে আসছে। কিন্তু তার স্ত্রী’গন অসহায় হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পায় না,সামাজিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে এর প্রতিকারে সুশিল সমাজ ব্যর্থ। বিধায়, অনেকটা সমাজচ্যুত অবস্থায় দিনাতিপাত করে মজনু মিয়া। মাদকাসক্ত ও নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জেরে তার পূর্বের স্ত্রী’গন তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়, সে সূত্র মোতাবেক বর্তমান স্ত্রী চাদনী আক্তারকে শারিরীক অত্যাচার করতে থাকা অবস্থায়; তার স্ত্রী সহ্য করতে না পারায় দৌড়ে বাদীর বাড়ীর উঠানে এসে বাদী সহ প্রতিবেশীদের আশ্রয় প্রার্থনা করিলে তাহারা রক্তাত্ব অবস্থায় চাদনী আক্তারকে আশ্রয় দেয়। অতঃপর কেন বাদী মজনুর স্ত্রীকে আশ্রয় দিল? তার অপরাধে বাদীর বাড়ীর উঠানে আশ্রয়কারী সহ সকলকে মারধর করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মজনু মিয়ার স্ত্রীকে ঐখানে প্রাণে মারার চেষ্টা করিলে সে মারধরের কারনে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পরে। বাদী মমতাজের বাড়ীতে খুন জখম হওয়ায় সম্ভাবনা থাকায় সে বার বার মজনুকে নিষেধ দিতে থাকার এক পর্যায়ে বাদী তার হাতে থাকা লোহার দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাতের পর আঘাতে মমতাজ বেগম মারাত্বক আহত হলে প্রতিবেশিদের হুমকি ধামকিতে মজনু পলায়ন করে এবং মজনু হুমকি দিয়ে যায় “থানা পুলিশ করলে প্রাণে ফেলবে”। 

এরই প্রেক্ষিতে আইনের প্রতি আস্থা রেখে বিশ্বম্ভরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় একটি মামলা করলেও এ পর্যন্ত থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতেই আসে নাই। বাদী মমতাজ বেগম ও তার পরিবার মজনু কর্তৃক যে কোন সময় ক্ষতির সম্মূখিন হতে পারে, সেই সাথে মজনুর স্ত্রী প্রতিনিয়ত মজনুর অত্যাচার নিপীড়নের শিকার। নারী নির্যাতনের এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তাৎক্ষনিক সরেজমিনে কোন পুলিশ সদস্য এমনকি প্রায় ২দিন অতিবাহিত হলেও থানাপুলিশের উদাসীনতায় পরিবারটি শঙ্কাগ্রস্থ। কোথায় গেলে তিনি বিচার পাবেন তা বুঝতে পারছেন না। এমতাবস্তায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ সহায়তা কামনা করছেন। 

এ ব্যপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার ইনভেস্টিকেশন অফিসার এস.আই অসীম জানান, অভিযোগটি আমি পেয়েছি। ব্যস্ততার দরুন যাওয়া যায় নি। তবে শীঘ্রই বিষয়টি দেখা হবে।



Commentbox

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

Laptop

Recents