শিরোনাম :

ক্যান্সারে আক্রান্ত জুবিলী স্কুলের শিক্ষার্থী দীপ্ত সরকারের চিকিৎসায় সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি সহায়তা চান তার পরিবার





সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী দীপ্ত সরকার মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা ক্ষৌরকার পবন সরকারের ছেলে।
দীপ্ত সরকার মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার বছর ধরে দেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালোর ব্যানারঘাটা রোড আরটিনগরের মেডাক্স হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। গত ২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে খেলাধূলা করতে গিয়ে ক্রিকেট বল পড়ে যায় একটি পাথরকাটার মেশিনের ভেতরে। বল আনতে গিয়ে দীপ্ত সরকার মেশিনের ভেতরে হাত ঢুকায়। এ সময় তার বাম হাতের তিনটি আঙলে চাপ লেগে মাংস থেতলে যায় এবং এরমধ্য অর্জনী আঙ্ল কেটে আলাদা হয়ে যায়। ওই সময় করোনা মহামারিতে লক ডাউনের কারণে দীপ্ত সরকারকে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। পরে এই তিন আঙ্ল সহ হাতের কব্জিতে ফুটো দেখা দেয়। করোনা মহামারির ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সময় সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকটা বিলম্ব হয়ে যায়। অবশেষে দীপ্ত সরকারের হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ দীপ্ত সরকারের হাত কাটতে হবে কনুই'র নিচে। এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুটির পিতামাত। পরে চিকিৎসকরা দীপ্ত সরকারের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চলতি বছরের ২ এপ্রিল ভারতের ব্যাঙ্গালোর ব্যানারঘাটা রোড আরটিনগরের মেডাক্স হাসপাতালে দীপ্ত সরকারকে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও চিকিৎসা রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা হাত কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। অবশেষে তার হাত কেটে ফেলা হলো। দীপ্ত সরকারের চিকিৎসায় চলে গেলো প্রায় চার বছর। চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল সব হারিয়ে নি:স্ব হলেন পরিবার। কিন্তু এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারছে না দীপ্ত সরকার। তার সুস্থ হতে আরও কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। মঙ্গলবার দুপুরে দীপ্ত সরকারের চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ পৌর মেয়রের কাছে আর্থিক সহায়তা চান তার মা পঞ্চমী দাস। তখন তিনি ১৫ হাজার টাকার একটি চেক তোলে দেন পঞ্চমী দাসের হাতে। এসময় সাংবাদিকদের বলেন, একজন মেধাবী স্কুল শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় সকল বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিৎ। আমরা একে অপরের প্রতি সদয় না হলে বিপদ কাটিয়ে উঠা অসম্ভব। তাই আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরে দীপ্ত সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। দীপ্ত সরকারের মা পঞ্চমী দাস জানান, আমি এই শহরের অনেকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। পৌরসভার মেয়র মহোদয় আগে দিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা, এখন আবার দিয়েছেন আরও ১৫ হাজার টাকা। আমরা নি:স্ব হয়ে গেছি। আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চাই। সে যেন আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু শিক্ষার্থী দীপ্তর মা পঞ্চমী দাসের ব্যক্তিগত বিকাল নম্বর -০১৭২৪৯৩৩৪৬৫ । এই সমাজে অনেক বৃত্তশালী ধর্নাঢ্য,দানশীল ব্যক্তিরা রয়েছেন আরুন না এই অসহায় নিস্পাপ ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুটির জীবন বাচাঁতে সাহার্য্যের হাত প্রসারিত করি। আপনারা আমার সহযোগিতায় হয়তো একটি নিস্পাপ শিশুর জীবন বেচেঁ যেতে পারে। বিনীত পঞ্চমী দাস বাসা সুরমা -৭৮,ঘোলঘর সুনামগঞ্জ পৌরসভা,সুনামগঞ্জ। সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ পার্সোন্যাল নম্বর-০১৭২৪৯৩৩৪৬৫ ।

Commentbox

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم

Laptop

Recents