মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টের
মৌলভীবাজারের বড়লেখার গজভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য বক্ত্যি গনের অতীতের দেওয়া সিদ্ধান্তকে অমান্য করা নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি। পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিকের সাথে বিরোধ সৃস্টি হওয়ায় আব্দুর রহমান গং তাদের রেকর্ডিয় ভূমির সীমানায় বাঁশের বেড়া দেন যার ফলে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি হওয়ায় বিবেধ মেটাতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম জুবায়ের আলম ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্যালয়ে ভূমির মালিক পক্ষকে নিয়ে বসেন ও সমাধানের প্রতিশ্রুতিদেন।
৬ জুলাই শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বড়লেখা উপজেলার গজভাগ সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন। এসময় ভূমির মালিক পক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন এ সময় এলাকার লোকজন বলেন বিদ্যালয়ের গেইট নির্মানের পূর্বে স্কুলের সীমানার সাথে সংযুক্ত ভূমির মালিক কাতার প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম সেবুল, আব্দুর রহমান গংদের সাথে বিদ্যালয়ের ভূমির অংশ বিনিময় করেন এবং প্রবাসী সেবুল গং তাদের রেকর্ডিয় ভূমি স্কুলে যাতায়াতের জন্য উম্মুক্ত করে দেন।পরবর্তীতে স্কুলের বিনিময়কৃত ভূমি প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী স্কুলের দখলে নিয়ে জান এজন্য ভূমির মালিকদের সাথে প্রধান শিক্ষকের সাথে বিরোধ সৃস্টি হওয়াতে মালিকপক্ষ বাঁশের বেড়া দেয় তাদের সীমানায়।
স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো:আজির উদ্দিন ভূমির মালিক পক্ষ আব্দুর রহমান ও গণ্যমান্য ব্যক্তি গনকে নিয়ে গত বছরের ৫ জানুয়ারি বিরোধ নিষ্পত্তি কল্পে সকলের মতামতে রেজুলেশন করা হয় যে স্হায়ীভাবে সমাধানের জন্য স্কুল গেইটের সামনের রাস্তার ভূমির রেকর্ডিয় মালিক আব্দুর রহমান স্কুলের রাস্তার জন্য ছেড়ে দিবেন এবং সমপরিমাণ ভূমি স্কুল ছেড়ে দিবে এই সিদ্ধান্তকে প্রধান শিক্ষক বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি।
গজভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী দলের প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে তার ব্যক্তি মালিকানা অটোরিকশা স্কুলের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চার্জ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এছাড়াও এলাকার লোকদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে।তিনি এলাকার মানুষের সাথে হুমকি ধমকি ও খারাপ আচরণ তার নিত্য দিনের বিষয়, কিছুদিন তিনি কারাভো করেন এবং সাময়িক বরখাস্তও হন এই প্রধান শিক্ষক আপ্তাব। দীর্ঘদিন থেকে এলাকার লোকজন তার আচরনে অতিষ্ট।
তাকে স্কুল থেকে প্রত্যাহারের জন্য এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেন রহস্যজনক কারনে তার বদলী হয়নি।
এলাকার সচেতন লোকজনের প্রশ্ন তার এই অপকর্ম ও বদলির আদেশ কোন খুঁটির জোরে বন্ধ হয়।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী বলেন আমার বিরুদ্ধে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে, আমাকে এখান থেকে সরাতে।
এব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা নবাগত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম জুবায়ের আলম জানান আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর স্কুল পরিদর্শন করে স্হানীয় লোকজনের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় গুলো জানতে পেরেছি এবং তার বদলির জন্য পক্রিয়া অনুসরণ ডিজি বরাবরে প্রস্তাবনা পাঠাবো।
এলাকার সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল থেকে বদলী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জাননান।
Commentbox